জুবাইর চট্টগ্রাম
অস্ত্র,গুলি,মাদক এবং মাদক বিক্রীর টাকাসহ দাতঁমারা ইউপির ২ নং ওয়ার্ড হেয়াকো পশ্চিম সিকদারখিল এলাকা থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
১৯ জুলাই (রবিবার) দিবাগত রাত ০১.০৫ মিনিট থেকে ০৪.০৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র,গুলি, ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দাতঁমারা ইউপির পশ্চিম সিকদারখিল এলাকার লেংড়া আব্বাসের ছেলে মোঃ সুমন (৩৫) দীর্ঘদিন যাবৎ ভূজপুর থানা এলাকা এবং মীরশ্বরাই উপজেলার জোরারগন্জ এলাকায় ডাকাতি,মাদক কারবারের সাথে যুক্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভূজপুর এবং জোরারগন্জ থানায় ১২ টি মাদক মামলা,১ টি অস্ত্র মামলা এবং ১ টি সরকারি কর্মচারির উপর হামলার মামলা রয়েছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ভূজপুর থানার অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ্, দাতঁমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী সরওয়ার, এএসআই আল আমিন খানসহ সঙ্গীর ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে পশ্চিম সিকদারখিল আব্বাস ওরফে লেংড়া আব্বাসের বাড়ী থেকে সুমনকে আটক করে।
পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে তার শয়ন কক্ষ হতে ১ টি দেশীয় তৈরী বন্ধুক,১ টি পাইপগান(যাতে. ৩০৩ রাইফেলের গুলি ব্যবহৃত হত),০৬ রাউন্ড. ৩০৩ রাইফেলের গুলি,০৩ টি ১২ বোর কার্তুজ,১৫০ টি ইয়াবা এবং মাদক বিক্রয়ের ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ধৃত সুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক সোহরাওয়ার্দী সরওয়ার বাদী হয়ে ১ টি অস্ত্র মামলা এবং ১ টি মাদক মামলা দায়ের শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, গত বছর উক্ত সুমনকে হেয়াকো ক্যাম্পের বিজিবি গোয়েন্দা সদস্য নায়েক সোহেল আটক করতে চাইলে সাথে থাকা চাকু দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে আহত করে সুমন। সে ঘটনায় মামলা হলে সুমন দীর্ঘদিন জেলে ছিল। তার পিতাও একজন পেশাদার চোর। আব্বাইচ্যা চোরা হিসেবে তাকে এক নামে সবাই চিনে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।বিগত ১৫/১৬ বছর আগে বাগান বাজার ইউপির আমতলী এলাকায় চুরি করতে যায় আব্বাস। পরে স্হানীয়রা তাকে হাতে নাতে ধরে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়। মুমুর্ষ অবস্হায় আব্বাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তারদের পরামর্শে তার পা কেটে ফেলতে হয়।সে থেকে আব্বাস পা হারা।