
ধম্মকথার উদ্যোগে সিলেটে শীতার্থ মানুষের জন্য পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের মত এবারও কনকনে শীতে(মানবিক উপহার) নিয়ে এগিয়ে এসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চট্টগ্রামের “মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান-পটু ফাউন্ডেশন” রাউজান, চট্টগ্রাম। কনকনে শীতে প্রতিবারের মত এববারও”ধম্মকথা” পরিবারের আহবানে সাড়া দিয়ে সিলেটে শীতার্থ মানুষের জন্য (মানবিক উপহার) দিয়ে এগিয়ে আসেন ধম্মকথা পরিবারের পরম জ্ঞাতি “মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান-পটু ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কুনাল কান্তি বড়ুয়া, তাপস কান্তি বড়ুয়া, অরুন বড়ুয়া, তরুণ বড়ুয়া তাঁদের পিতা-মাতা’র নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় এই মহৎকর্ম সম্পাদন করা হয়। দেশের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগীতা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিভিন্ন মুখী মানবিক কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরার হোয়ারাপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত মানব কল্যাণ মূলক ফাউন্ডেশন “মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান-পটু ফাউন্ডেশন”।
এই কনকনে শীতে ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ বুধবার রাত ৯ ঘটিকায় ফাউন্ডশনের পক্ষে ধম্মকথার সম্পাদক মানবতার ফেরীওয়ালা উৎফল বড়ুয়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে গরীব, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কাজ সম্পন্ন করেন। উক্ত ফাউন্ডশন বৈশ্বিক মহামারি করোনাকলীন সময়ে দেশব্যাপী অক্সিজেন সংকটে অক্সিজেন দান সহ নিজ গ্রাম, চট্রগ্রাম শহর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মাঝে মানবিক উপহার বিতরণ করে চলেছেন। এই মানবিক কাজের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন ধম্মকথার সম্পাদক, সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডশনের যুগ্ম আহবায়ক, মানবতার ফেরীওয়ালা উৎফল বড়ুয়া বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য লেপ-কম্বল ও শীতবস্ত্র যেমন দরকার তেমনি শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচার জন্য উপায়-উপকরণ দরকার। একই সঙ্গে দরকার খাদ্য। দেশের কয়েক কোটি মানুষ শীতের অসহায় শিকার। এদের সকলের লেপ-কম্বল, শীতবস্ত্র ও খাদ্য যোগান দেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে যাদের সামর্থ আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। এটা শুধু অধিকতর সুবিধাপ্রাপ্ত ও সম্পন্ন মানুষ হিসাবে তাদের কর্তব্য নয়, ধর্মীয় অপরিহার্য দায়িত্বও বটে। দুস্থ ও অভাবীদের সাহায্য করা, তাদের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়। আমি মনে করি, শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে নয়, সমাজের বিত্তশালীদেরও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা জরুরি। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সমাজে সে মানুষেরই একটা অংশ গরিব-দুস্থ। তারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো তাদেরও ন্যায্যপ্রাপ্য। তাই গরিব-অসহায়, দুস্থের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন ও সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক। আসুন আমরা মানবিক মূল্যবোধ থেকে সবাই মিলে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে সামর্থের ভিত্তিতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করি। বৌদ্ধ অনলাইন মূখপত্র “ধম্মকথা” পরিবারের পক্ষ থেকে এই মানবিক কাজের জন্য “মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান-পটু ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি