
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কটল্যান্ড নতুন প্রক্রিয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের টাইপ পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো ‘সি-পেপটাইড’ রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে দেশটি।
কমপক্ষে ৩ বছর ধরে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন সবাইকে এই সি-পেপটাইড ব্লাড পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছে স্কটল্যান্ড। এর ফলে অনেক রোগীকে ইনসুলিন নেয়ার দরকারই হবে না।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীরে ঠিক কি পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন হচ্ছে তা জানা যাবে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের যারা বছরের পর বছর ধরে ইনসুলিন নিচ্ছেন, তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতেও আসবে পরিবর্তন।
চলতি বছরের নভেম্বর থেকেই স্কটল্যান্ডে এই রক্ত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার মাধ্যমে টাইপ-১ রোগীর ডায়াবেটিস নির্ণয়ের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। টাইপ-১ ও টাইপ-২ রোগীদের মধ্যেও পার্থক্য করা সহজ হবে।
ডায়াবেটিস প্রধানত ২ ধরনের। টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না।
দুই বছর পাইলট গবেষণার ফলে ডায়াবেটিস এবং অ্যান্ডোক্রাইনোলজি কনসালট্যান্ট প্রফেসর মার্ক স্ট্রাচান জানিয়েছেন, এই নতুন সি-পেপটাইড রক্ত পরীক্ষা করার ফলে একজন ডায়াবেটিস রোগী নিজেরাই কতটা ইনসুলিন তৈরি করছেন তা চিকিৎসকরা বের করতে পারবেন।
তিনি জানান, শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সি-পেপটাইড থাকে তবে তা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নয় বলেই প্রতীয়মান হয়। সি-পেপটাইডের পরিমাণ বেশি থাকলে সেই রোগীকে প্রতিনিয়ত ইনসুলিন গ্রহণেরও প্রয়োজন হবে না।