
চায়ের দোকান, হাট-বাজার, রাস্তার মোড়, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র একটাই আলোচনা তা হল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তফসীল ঘোষণার পর থেকেই রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে সর্বত্রই চলছে জোর আলোচনা। কে পাবে দলীয় প্রতীক, আর কে হবে চেয়ারম্যান।
সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। চলছে নির্বাচনী আমেজও। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পর আ.লীগের দলীয় চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাশীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেছেন।
১৭ অক্টোবর রবিবার উপজেলা আ.লীগের স্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে দলীয় মনোনয়ন পত্র ফরম গ্রহণ করেছেন ১৪টি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় মনোনয়নের দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন হলদিয়া ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, ডাবুয়ায় আবদুর রহমান চৌধুরী, চিকদাইরে প্রিয়তোষ চৌধুরী, গহিরায় নুরুল আবছার বাশি, নোয়াজিশপুরে লায়ন এম সরোয়ার্দী সিকদার, বিনাজুরীতে রবিন্দ্র লাল চৌধুরী, ৭নং রাউজান ইউনিয়নে বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, কদলপুরে তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, পাহাড়তলীতে রোকন উদ্দিন, পুর্ব গুজরায় মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহম্মদ, পশ্চিম গুজরায় সাহাবুউদ্দিন আরিফ, উরকিরচরে সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল, নোয়াপাড়ায় বাবুল মিয়া, বাগোয়ানে ভুপেষ বড়ুয়া।
পাশাপাশি আলোচনায় আরো অনেকের নাম শোনা গেলেও শেষমেষ দলীয় সিন্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সবকিছু। নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম মারা যাওয়ায় ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দলীয় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া।
রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা বলেন, নির্বাচনী তফসীল অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদ প্রার্থীরা রিটানিং অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসারের কার্যলয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। আগামী ৪ নভেম্বর রিটানিং অফিসারের কার্যলয়ে মনোনয়ন পত্র বাছাই করা হবে। প্রার্থীতা প্রত্যহারের শেষ তারিখ আগামী ১১ নভেম্বর। আগামী ২৮ নভেম্বর রাউজানের ১৪টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।