
শ্রামন বিপুলানন্দ
এই পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বু্দ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ, বু্দ্ধ কর্তৃক পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের কে ধর্মচক্র প্রবর্তন সুত্র দেশনা ও লোকোত্তর ধর্ম প্রচার, প্রাতিহার্য ঋদ্ধি শক্তি প্রদর্শন এবং মাতা মহামায়াদেবী কে তাবতিংশ স্বর্গে গিয়ে লোকোত্তর অভিধর্ম দেশনা করেন, এই পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ ও উপাসক- উপাসিকাদের জন্য মহাকল্যাণকর পবিত্র শুভ দিন।
এই মহান শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতেই তথাগত বু্দ্ধ ভিক্ষু সংঘদের জন্য বর্ষাবাস ব্রত পালন ও উপাসক- উপাসিকাদের অষ্টশীল উপোসথ শীল পালন করার জন্য নিয়ম প্রচলন করেন। এসব বিষয়াদি গভীর ভাবে জ্ঞান সম্প্রযুক্ত চিত্তে বিশ্বাস করলে বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য স্মরণীয় ও বরণীয় তিথি।
বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাসের কারনে অনাড়ম্বর ভাবে প্রত্যেক বৌদ্ধ বিহারে এই পূর্নিমা পালন করা হবে তবে নিজ নিজ বাসা ও বাড়ীতে বু্দ্ধের আসনে পূজা তুলে স্ব স্ব বাসা বাড়ী, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে বু্দ্ধ পূজা উৎসর্গ এবং অষ্টশীল প্রদান সহ সারসংক্ষেপ সদ্ধর্মদেশনা শ্রবণ করবে বৌদ্ধ নরনারী বৃন্দ ।
এদিকে রাউজানে ও বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে অনাড়ম্বর ভাবে উদযাপন করা হবে আষাঢ়ী পুর্নিমা । বিশেষ করে ধর্মগ্রাম আবুরখীলের কেন্দ্রীয় বিহার , গৌতম বিহার, অজন্তা বিহার , নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহার , শান্তিময় বিহার সহ সকল বিহারে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে বুদ্ধ পুজা , শীল গ্রহন অনুষ্টিত হবে ।