রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদেরও একদিন আবিষ্কার করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

ইতিহাস ৭১ ডেস্ক : “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের আমরা বিচারের আওতায় এনেছি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের উদঘাটন করা হয়নি। একদিন এটিও আবিষ্কার হবে।”বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ আগস্ট (রবিবার) শোকের মাসের প্রথমদিনে কৃষক লীগের আয়োজনে ‘স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এ মাসের ১৫ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন, তাকে হত্যা করা হয়।

সঙ্গে সঙ্গে আমার মা, যিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। শুধু সংসার চালাননি পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য। তাকেও হত্যা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, খুনি ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে তাতে বলেছে, জিয়াউর রহমান উপ-সামরিক প্রধান ছিল, তার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল, সম্পর্কও ছিল; সফল হতে পারলে তাদের সমর্থন দেবে, সঙ্গে থাকবে।

মোশতাক-জিয়ার যে সখ্যতা ও সম্পর্ক এটা তো পরিষ্কার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বাংলাদেশ বিচ্যুত হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী, তারাই কিন্তু ক্ষমতাটা দখল করে। জিয়া এই খুনিদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা করেছে।

তারই পথ ধরে জেনারেল এরশাদও এই খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা বানান।

৯৬ সালে আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি তখন এই বিচারের রায়ের দিন খালেদা জিয়া হরতাল দেয়। যাতে বিচারক আদালতে আসতে না পারে। ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই খুনিদের আবার পৃষ্ঠপোষকতা করে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype