রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে এবারের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আজ ১৫ জুন (মঙ্গলবার) ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদরাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি-না, তা বিবেচনা করা হবে করোনা পরিস্থিতি দেখে।’

এর আগে গত ১৩ জুন (রবিবার) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন সেটি যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য এই বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে ডিসেম্বরে পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছুদিন ক্লাস করানোর জন্য কয়েক মাস আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে।

সেটা সম্ভব না হলে গুরুত্বপূর্ণ চার-পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিকল্প ভাবনা আছে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

তবে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন হতে পারে। এরই মধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হয়েছে।

সেভাবেই এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এটা অনেকটাই ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতির মতো।

তবে এই দুই পাবলিক পরীক্ষায় অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হলে এর সঙ্গে আগের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করা হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসির নম্বর এই মূল্যায়নে থাকতে পারে।

আর সবশেষ বিকল্প হচ্ছে আগের পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন। কিন্তু গত বছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হলেও তা ছিল অনেকটাই ‘অটো পাসের’ মতো। তবে কোনোভাবেই এই সব শেষ বিকল্পে যেতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

এরই মধ্যে এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার ঘোষণা দেওয়ার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়নি।

সর্বশেষ গত রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমানে করোনার যে ঊর্ধ্বগতি এবং আগামী জুলাইয়ে ঈদুল আজহার কারণে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা খুবই কম।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype