শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

জাপানের যত ভাবনা অলিম্পিক গেমস নিয়ে

অনলাইন ডেস্ক
জাপানে অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার কথা আগামী ২৩ জুলাই। গত বছরই তা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এ বছরও গেমসের আয়োজন করা উচিত কি না, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। জাপানের এক বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছেন, গেমসের আয়োজন হলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিপুল সম্ভাবনা আছে। তবে জাপান সরকার এবং অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, সব রকম ব্যবস্থা নিয়েই অলিম্পিকের আয়োজন করা হচ্ছে।

জাপানের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট হিতোশি ওশিতানি। তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাপান সরকারের স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা ওশিতানি লন্ডনের এক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, সরকার, অলিম্পিক কমিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি বারবার বলছে, সমস্ত সতর্কতা মেনে অলিম্পিকের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু সবরকম সতর্কতা মানা সম্ভব নয়। এত বড় আয়োজনে ফাঁক থেকেই যায়। এত মানুষ এই গেমসের সঙ্গে যুক্ত। ফলে অলিম্পিক থেকে গোটা পৃথিবীতে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

ওশিতানির মতে, এখনও বিশ্বের বেশ কিছু দেশে করোনা সেভাবে ছড়ায়নি। কোনও কোনও দেশে করোনা পৌঁছায়নি। অলিম্পিকের মাধ্যমে সে সমস্ত দেশেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। ফলে আপাতত গেমস স্থগিত করা উচিত। শুধু ওশিতানি নন, জাপানের একাধিক বিশিষ্ট মানুষ অলিম্পিক আপাতত বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
সরকার অলিম্পিক করবেই

সরকার জানিয়েছে, সব রকম সতর্কতা মেনেই গেমসের আয়োজন করা হচ্ছে। বিদেশি দর্শকদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের দর্শকদেরও স্টেডিয়ামে যেতে দেওয়া হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

টোকিও ২০২০ অলিম্পিকের প্রেসিডেন্ট সেইকো হাসিমোতো মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত ৭০ হাজার কর্মীকে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে টিকা দেওয়া হবে। যদিও এর মধ্যেই ১০ হাজার কর্মী কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। করোনার ভয়েই তারা অলিম্পিকের সঙ্গে থাকতে চাননি বলে মনে করা হচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত জাপানে সাত লাখ ৬০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ মানুষের। এখনো টোকিও সহ একাধিক রাজ্যে ইমার্জেন্সি চলছে। তারই মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজন হচ্ছে। আগামী ২০ জুন জরুরি অবস্থা তোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অলিম্পিক কভার করতে প্রায় ছয় হাজার সাংবাদিক যেতে পারেন জাপানে। তাদের জন্য ১৫০টি হোটেল নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। ওই হোটেলের বাইরে অন্য কোথাও তারা থাকতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের গতিবিধি হবে নিয়ন্ত্রিত। স্টেডিয়াম এবং হোটেল ছাড়া অন্য কোথাও তারা যেতে পারবেন না। মোবাইল ট্র্যাকার দিয়ে তাদের গতিবিধি ট্র্যাক করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype