শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

গ্রামে বাড়ি করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আপনার গ্রামে বাড়ি, দোকান, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব, অফিস, আদালতসহ যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
 
মন্ত্রী ৫ মে (বুধবার) মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সেভ দ্য চিলড্রেন ওবাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স আয়োজিত ‘মেয়র সংলাপ: নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’ বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই এখন থেকেই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।
‘গ্রাম-গঞ্জে কোথাও কেউ যদি বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায় তাহলে অবশ্যই একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। ’
তাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না।
 
ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়ন করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে।
 
কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অবস্থায় পূর্বানুমতি ছাড়া কৃষিজমিতে বাড়ি-ঘর বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না।
রাজধানীতে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ অন্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল নির্ধারণ করার উপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, গুলশান, বনানী-বারিধারা এলাকার মতো যাত্রাবাড়ী বা স্বল্প আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকার ইউটিলিটি বিল সমান হতে পারে না এবং এটা নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গতও হবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, নাগরিক সেবার নামে যত্রতত্র রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে সরকারের সব সংস্থা/দপ্তরের সমন্বয় করে জনসেবা ও নগরের উন্নয়ন করতে হবে।
মন্ত্রী ঢাকা শহরের ৩৯টি খালসহ সব বড় বড় শহরের আওতাধীন খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করে সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিকবান্ধব করতে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দেন।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype