বৃহস্পতিবার-১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সম্প্রীতির বন্ধনে চিরনিদ্রায় শায়িত কবর-শ্মশান; ভালোবাসার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

পৃথিবীতে মানব জাতি হলো শ্রেষ্ঠতম জীব। তাইতো এ গ্রামে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে ত্রিপুরা, কে বৌদ্ধ আর কে খ্রীষ্টান ভেদাভেদ মূখ্য বিষয় হয়ে ওঠেনি তাদের মাঝে। যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির বন্ধনে এই উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রামগড় পৌর সভার ৭নং পৌর ওয়াডের শান্তি প্রিয় এলাকাবাসী। পৃথিবীতে একজন মানুষ যে ধর্মেরই হউক বা সমাজের যে অবস্থানে থাকুক না কেন, মৃত্যুকে আপন করে নিতেই হবে। এক প্রকার বাধ্যতামূলক অবসর বলতে পারেন। এতে কোন মাস্তান গিরি চলবে না। “জন্মমিলেই মরিতে হইবে” এটাই সত্য। সেই সত্যকে মেনে নিয়ে আজ তারা সম্প্রীতির বন্ধনে চিরনিদ্রায় শায়িত ঐ এলাকার শান্তি প্রিয় মুসলিম, হিন্দু-ত্রিপুরা,বৌদ্ধ আর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এক ভালোবাসার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই কবর-শ্মশান স্থাপন করা হয়েছে রামগড়- ফেনী- ঢাকা প্রধান সড়ক ঘেঁসে যাওয়া দারোগা পাড়া মহামনি বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ সংলগ্ন এলাকায়। যা নিজের চোখে না দেখলে অনুভব করা যাবে না। স্থানীয় রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী বলেন, কথায় আছে- ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবী এতো সুন্দর। তাইতো পরপারেও ভালবাসার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ পবিত্র কবর,সমাধী,শশ্মান গুলো। রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু.মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন- এক সাথে চার সম্প্রদায়ের পবিত্র কবর,সমাধী,শশ্মান গুলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সেতু বন্ধনের অর্থবহন করে চলেছে। স্থানীয় ৭নং পৌর ওয়াডের বাসিন্দা ও রামগড় সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মংসাজাই মারমা ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম এবং থানা মসজিদ কমিটির সহ- সভাপতি স্থানীয় সাংবাদিক বেলাল হোসাইন এ প্রতিনিধিকে বলেন,দারোগা পাড়া রামগড় খাগড়ছড়ি জেলায় অবস্থিত ৪জাতি গোষ্ঠীর শেষ আশ্রয়স্থল মৃৃত্যুর পর যেখানে কবর দেওয়া-অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। যা বৃটিশ আমল তারো শতর্বষের ও অধিক আগে থেকে মারমাদের শশ্মান ও পরে বৃটিশ আমলে খ্রীষ্টানদের,পাকিস্তান আমলের পর থেকে কবর প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্তস্থানটির প্রতিষ্ঠাতা প্রাত্তন বনবিথি বোডিং এর মালিক মংপ্রæ তহশিলারের পিতা মগ্যা মগ। সংশিলষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এলাকাবাসীর দাবী র্দীঘদিনের পুরোনো (মুসলিম,হিন্দু-ত্রিপুরা,বৌদ্ধ আর খ্রীষ্টান)দের কবর,সমাধী, শশ্মান গুলো পবিত্রতা রর্ক্ষাথে চারদিক সীমানা প্রাচীর, মাটি বরাট করে সংরক্ষণসহ সহযোগিতা কামনা করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype