

দেশের মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য পৌঁছে দিবে ই-কমার্স বলেছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে দেশব্যাপী বিক্রয় করছে।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যাতে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য সরকার ই-কমার্সের সহযোগিতায় ভোজ্য তেল, সোলা, চিনি এবং ডাল এ চারটি পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২৬ এপ্রিল (সোমবার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর সহযোগিতায় ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন(ই-ক্যাব) আয়োজিত “মাহে রমযানে ঘরে বসে স্বস্তির বাজার” কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।
আজ ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে দেশের মানুষ। ই-কমার্স খুব কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে অন-লাইনে। সরকার ই-কমার্সকে সহযোগিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্সে নিয়োজিত জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মানুষ যাতে প্রতারিত না হয় এবং ঘরে বসে ই-কমার্সের সুবিধা ভোগ করতে পারে। চলমান ই-বাণিজ্যে যে সকল ভুলক্রুটি ধরা পরছে,
সেগুলো যাতে পুনঃরায় না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
তিনি বলেন, টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য মধ্যবিত্তের ঘরে পৌছে দেয়ার জন্য ই-কমাসের সহযোগিতা নিয়েছে। বিগত দিনে পেঁয়াজ ও আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশের মানুষ সুফল পেয়েছে।
আশা করা যায়, মানুষ ই-কমার্সের প্রতি আস্থাশীল হবেন। যাতে সুশৃঙ্খল ভাবে ই-বাণিজ্য দেশে প্রসার লাভ করতে পারে। ই-কমার্সের কর্মীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ঘরে ঘরে পণ্য পৌছে দিচ্ছে। এটি একটি মহতি ও প্রশংসনীয় কাজ।
তিনি আরও বলেন, এ বিপদের সময় মানুষ ঘরে বসে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।