
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) থাবায় সংক্রমণ ও প্রাণহানি বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৮২ হাজার। এতে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও পেরিয়েছে ১৪ কোটি ১২ লাখে।
অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
১৮ এপ্রিল (রবিবার) সকালে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১১ হাজার ৫৫৬ জন।
এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৮শ ১৩ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৩শ ৭৩ জন।
এতে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ কোটি ১৩ লাখ ৫শ ৩৮ জনে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ১শ ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৭শ ৫৬ জন মারা গেছে।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৯ লাখ ১শ ৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮শ ৮৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৪শ ৬১ জন এবং মারা গেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১শ ৬৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫২ লাখ ৬০ হাজার ১শ ৮২ জন, রাশিয়ায় ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪শ ৬৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯শ ৩৮ জন, ইতালি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪শ ৪৩ জন,
তুরস্কে ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬শ ৪৫ জন, স্পেন ৩৪ লাখ ৭ হাজার ২শ ৮৩ জন, জার্মানি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৯শ ৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৫শ ৯৩ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৫ হাজার ১শ ৯৩ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ২শ ৬০ জন,
ইতালিতে এক লাখ ১৬ হাজার ৬শ ৭৬ জন, তুরস্কে ৩৫ হাজার ৬শ ০৮ জন, স্পেনে ৭৬ হাজার ৯শ ৮১ জন, জার্মানিতে ৮০ হাজার ৫শ ২৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১২ হাজার ২শ ২৮ জন মারা গেছেন।