
আল মামুন ঘিওর মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে কালবৈশাখীতে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের টিনের চালা। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (১০ মে ) দুপুর ৩টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল, পাকা ধান, ভুট্টা ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঘিওর উপজেলার চরবাইলজুরী গ্রামের কৃষক মামুদ আলী বলেন, তিনটার দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘পেঁপে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে। আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলার আম ও লিচু বাগানের মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঝড়ে বাগানের আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছের আম-লিচু পড়ে গেছে। এতে অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেল।
উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, ‘আজকের ঝড়ে আমার ঘরের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।’
আম ব্যবসায়ী হানিফ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিবছর বাগান ধরে আম কিনি। এ বছরও কিনেছি। ঝড়ে সব আম পড়ে গেছে। এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও উঠবে না।’
ঘিওর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ( প্রকৌশলী ) লিপিয়া খাতুন বলেন, ‘কালবৈশাখীর তাণ্ডবে পুরো উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটির উপর গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক স্থানের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। আমরা মেরামতের কাজ করছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ করবেন।