
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রাউজান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এর কাজী পাড়া গ্রামে সুলতান শাহ (র.) আউলিয়ার ৬১১তম ওরশ মহা সমারোহে তার মাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে রাউজানের সুলতানপুর গ্রাম সুলতান আউলিয়ার নামে নামকরন করা হয়। তিনি ৩৬০ আউলিয়ার একজন হিসাবে বাংলাদেশে এসেছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। তার প্রমান উইকিপিডিয়ায় ৩৬০ জন আউলিয়ার নামের সাথে তার নাম লিখিত আছে। ৬১০ বছর আগের কথা তখন এদেশে জনবসতি ছিল কম। ঐ সময় তিনি এখানে ধর্ম প্রচার করতেন এবং বেলায়েত এর কাজ করতেন ।
আশেকগন বলেন নবী আর আসবে না, নবুয়তের যুগ শেষ কিন্তু বেলায়েতের অলি গন কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়াতে আসবেন এবং যাবেন । শরীয়ত তরীকত হাকীকত মারফত প্রচার করে যাবেন। বেলায়েতের যুগ জারী আছে, এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আল্লাহর একত্ববাদ প্রচারের জন্য আউলিয়াগন পাহাড়ে জঙ্গলে অনাহারে অনেক কষ্ট করেছেন, এবং করে যাচ্ছেন। হযরত শাহ সুলতান আউলিযা রাউজানের এই কাজী পাড়ায় ওফাত প্রাপ্ত হন। কিন্ত‘ তিনি যে জীবিত তার প্রমান ২৫ বছর আগে সুলতান পুর এলাকার মুছা ড্রাইভার নামে এক আশেক বলেন তাকে দেখা দিয়েছেন এবং তিনি গায়েবী দান দিয়েছেন । তাছাড়া গহিরা নিবাসী সুলতান শাহ এর আশেক নাজমা ও প্রিতি বড়ুয়া বলেন গত দশ বছর আগে তারাও গায়েবী দান পেয়েছেন এবং রুহানী নির্দেশে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন ।
আরেক জন আশেক চট্টগ্রাম শহরের এনায়েত বাজার নিবাসী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আরমানও স্বপ্নে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে ৬০০ বছর পরে এসে তিনি মাজারের সংস্কার কাজে হাত দিয়ে একটি সুন্দর মাজার পুননির্মান করেছেন । তিনি বলেন যেহেতু আল্লাহ কোরান শরীফে এরশাদ করেছেন আওলিয়ারা কোনদিন মরেননা তারা পর্দার আড়ালে মানুষের হেদায়েত ও ইসলামের কাজ করেন ।
শাহসুলতান মাজারের বর্তমান খাদেম হিসেবে আহমেদ মিঞা মাষ্টারের ছেলে আবু তৈয়ব খেদমত করছেন এবং দরবারের একনিষ্ট ভক্ত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আরমান ভবিষ্যতে মাজারের পাশে মসজিদ নির্মান , হেফজখানা , এতিমখানা , ভান্ডার খানা ও মেহমান খানা তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন ।
ওরশের অনুষ্ঠানসুচীর মধ্যে ছিল, খতমে কোরান, খতমে গাউছিয়া, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ মাহফিল ও আখেরী মোনাজাত ও তবরুক বিতরণ। ওরশে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত আশেকগন তার মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আগমন করেন।