
ইতিহাস৭১ ডেস্ক : একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজ বিজ্ঞানী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেছেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সহ নানান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বহুবছর ধরে ১ ডিসেম্বর বেসরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন ও রাষ্ট্রীয় ভাবে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের দাবি করে আসছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য জোর সুপারিশ করা হয়। আজও সেই সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও স্মৃতি রক্ষার্থে একটি দিবস পালনের যৌক্তিকতা রয়েছে।এবিষয়ে বর্তমানে ক্ষমতাসীন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সভায় বক্তারা অবিলম্বে ১ ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার জোর দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.সরফরাজ খান চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জাহিদ হোসেন শরীফ,ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো সেলিম চৌধুরী, এডভোকেট ইফতেখার রাসেল, আবদুল মালেক খান, এডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশী, রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত, হাজী সেলিম রহমান, জসীম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, নুরুল হুদা চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, ডা.ফজলুল হক সিদ্দিকী, সৈকত দাশগুপ্ত, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, দীপন দাশ, সোহেল ইকবাল, আবদুর রহীম ইমরান মুন্না, নাসির আলী পান্না, কোহিনুর আকতার, নয়ন মজুমদার।
সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে গৌরী শংকর চৌধুরী,বাদশা মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম খান, এস এম নুরুল আমিন প্রমূখ।
এই উপলক্ষ্যে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, সম্মাননা প্রদান ও চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালের সৌজন্যে আজীবন ফ্যামেলী হেলথ কার্ড দেয়া হয়।