শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রী মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,  প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হলেও স্বাস্থ্যসেবার দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা ৭০ লক্ষের বেশি, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় লোকসংখ্যা ৮০-৮৫ লক্ষের মত এবং সে হিসেবে এখানে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু হয় নাই। আমি মনেকরি যদি হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে একটি পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব  আহমদ কায়কাউস এবং তার সহকর্মীসহ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিনন্দন জানান। যারা ইতোমধ্যে হার্ট ফাউন্ডেশনে অনুদান দেয়ার জন্য প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ্ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এর শুভ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ নগরীর জনসাধারন।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আপনারা জানেন যে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেত হাসপাতালের এজেন্ট বাংলাদেশে আছে, তাদের সাথে আমি কথা বলে জেনেছি সিঙ্গাপুরে যত রোগী যায় তার বড় একটা অংশ চট্টগ্রামের। এটির কারণ হচ্ছে এখানের স্বাস্থ্যসেবা সেভাবে সম্প্রসারিত না হওয়ায়। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, এবং সে কারনেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করা হয়েছে। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং সেখানে ২৮ থেকে ৩২ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামে সেটি আছে কিন্তু শহরের জনগোষ্ঠীর জন্য একি ধরনের সুবিধা আমাদের সম্প্রসারিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের একটা সম্মিলন রয়েছে। আমাদের চট্টগ্রামে যারা গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা এই ফাউন্ডেশনে অনুদান ও দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছেন এবং এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটা একটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তাই এর আয় এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় হবে সেটা আমরা যেহেতু আশ্বস্ত পেরেছি আমরা মনে করি যেভাবে করে হার্ট ফাউন্ডেশন ঢাকায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হৃদরোগের চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চট্টগ্রামেও হার্ট ফাউন্ডেশন এ ভূমিকা পালন করবে।

সভাপতি ড. আহমদ কায়কাউস সমাপণী বক্তব্যে বলেন, আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে করোনার সময় চিকিৎসার যে অব্যবস্থা দেখেছি তা দুর করতে পারি। করোনার সময় আপনারা সবাই জানেন , বহু দেশ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিতে পারেনি, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বুস্টার ডোজসহ মানুষকে বিনামূল্য তা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনগুলো সংগ্রহ করতে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে যা পদ্মা সেতুর নিমার্ণ ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype