
অনলাইন ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তোয়াব খান বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। তার হাত ধরে দেশের বহু প্রথিতযশা সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তার লেখনী আমাদের দেশ ও জাতিকে উপকৃত করেছে। তিনি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একজন পথিকৃত। তাঁর মৃত্যু আমাদের সাংবাদিকতা জগতের জন্য শুধু নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তোয়াব খানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তোয়াব খানের অসামান্য অবদান ছিল। স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন। আবার স্বাধীনতা উত্তরকালেও দেশের জন্য, গণমাধ্যমের জন্য কাজ করেছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব ছিলেন, প্রধান তথ্য অফিসার এবং প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তোয়াব খান ছিলেন একজন আপসহীন সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি চাকরি হারিয়েছেন। কিন্তু আপস করেননি। তাঁর হাত দিয়েই পাকিস্তান পরবর্তী দৈনিক বাংলার যাত্রা শুরু। দৈনিক বাংলা ছাপা, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকতায় ‘তোয়াব খান স্মৃতি পদক’ চালু করবে বলে জানিয়েছে, যা তার স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিশেষ অবদান রাখবে।’