শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ : মার্কিন প্রতিবেদন

ইতিহাস৭১ ডেস্ক: আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে এটির ন্যূনতম মানদণ্ডে পৌঁছার ক্ষেত্রে এখনো ঘাটতি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ইকোনোমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ‘ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি ২০২২’ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশের অবস্থা নিয়ে শুক্রবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে ৭২টি দেশ। আর আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি ৬৯টি দেশ। তবে এ ৬৯টি দেশের মধ্যে ২৭টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার একটি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। প্রস্তাবিত নির্বাহী বাজেটও অনলাইনসহ জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছাতে পেরেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে আর্থিক বরাদ্দ এবং আয় সর্বজনীনভাবে বাজেট নথিতে অন্তর্ভুক্তও ছিল।’

এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের স্বচ্ছতায় অগ্রগতি আনতে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা হলো :

১. আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট নথি প্রস্তুত করা;
২. সর্বোচ্চ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করা এবং তাদের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে তা নিশ্চিত করা;
৩. যথাসময়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা, যাতে মূল অনুসন্ধান, সুপারিশ ও বর্ণনা থাকে;
৪. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কার সম্পর্কে মৌলিক তথ্য সর্বজনীনভাবে ও ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা।

উল্লেখ্য, রাজস্বখাতে স্বচ্ছতা আনতে, কর ও রাজস্ব কীভাবে ব্যয় করা হয় এবং কার্যকর সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বৈশ্বিক আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype