
ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক : মরহুম নুরউদ্দিন একজন ভালো মানুষ ছিলেন, ওনার সাথে আমার অনেক স্মৃতি। স্বপ্নচারী মানবতার ফেরিওয়ালা ছিলেন মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ নূর উদ্দিন। তিনি ছিলেন প্রচার বিমুখ। তিনি সমাজ হিতৈষী এবং মানবিকতার পথিকৃৎ মানবসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মেগা ডোনার। এ হাসপাতালের উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তিনি। গোপনে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতাল ও রোগীর জন্য অনুদান দিয়েছেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক, চট্টগ্রাম চেম্বার ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক এবং মেরিনার্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের স্মরণে অনুষ্ঠিত শোক সভায় এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। গতকাল ৬ আগস্ট (শনিবার) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্যোগে এ শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ লতিফ, একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক ও কিউ এন এস গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল কাইয়ুম খান। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনিবাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম তাহের খান। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি ছিলেন মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ নূর উদ্দিন। মানবতার জন্য ওনার অবদান অনেক। উনি নিরবে দান করতেন। সবসময় চেষ্টা করতেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তার জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
স্মৃতিকাতর হয়ে মন্ত্রী বলেন, মরহুম নূর উদ্দিন সাহেব ছিলেন আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। আমরা দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে একসাথে কাজ করেছি। এক সাথে নানা দেশে ঘুরেছি। সেই সব স্মৃতি আমি ভুলতে পারি না। আমি একজন চরম বন্ধুকে হারিয়েছি। সবাইকে চলে যেতে হয়। কিন্তু তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, নূর উদ্দিন সাহেব আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু উনার কীর্তি ও উনার অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে। উনি আজীবন বেঁচে থাকবেন উনার এইভালো কর্মগুলির মাধ্যমে।
ভূমি মন্ত্রী আরো বলেন, গোপনে দান করতে পছন্দ করতেন সৈয়দ নূর উদ্দিন। যার ফলে উনার এ সকল দান অনুদান সব সময় লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে যেতো। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক ভদ্র লোক। অত্যন্ত অমায়িক ও মার্জিত স্বভাবের লোক ছিলেন তিনি। ছোট বড় সকলের সাথে তিনি অত্যন্ত সুন্দর ব্যবহার করতেন।

শোক সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীরুল হক, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক আবু হায়দার চৌধুরী আমজাদ, বিজিএমইএ এর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব, বিজিএমইএ এর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, আলমগীর পারভেজ, সৈয়দ মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের ভাই ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনিবাহী কমিটির জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ আজিজ নাজিম উদ্দিন এবং সৈয়দ মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের মেয়ে আনিকা।
এম.জে.আর