
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পেট্রোলিয়াম যাবে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য, ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম ও মিজোরামে। ভারি বর্ষণে আসামে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেট্রোলিয়ামের এসব পণ্য ট্যাংকারে করে পাড়ি দেবে বাংলাদেশের ১৪০ কিলোমিটার পথ।
৩ আগস্ট (বুধবার) বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় পেট্রোলিয়াম বা এলপিজি পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচলের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) এবং বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত। চুক্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম অথবা এলপিজি রোড ট্যাংকারের এ চলাচল অস্থায়ী।
শুধু কয়েক মাসের স্বল্প সময়ের জন্য বিকল্প সরবরাহ রুটের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এ চুক্তি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ফি, চার্জ, স্থানীয় টোল ও রাস্তা ব্যবহারের জন্য ফি দিতে হবে আইওসিএলকে। এতে প্রতি কিলোমিটারে প্রতি টনে এক টাকা ৮৫ পয়সা খরচসহ অন্যান্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আইওসিওল বহন করবে।
চুক্তিতে বলা হয়, এ বছর ভারি বর্ষণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে।
এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি বিকল্প পথ ব্যবহার করে মোটর স্পিরিট, হাই-স্পিড ডিজেল, সুপিরিয়র কেরোসিন তেল এবং তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের চলাচলের সুবিধা পাবে।
চুক্তি অন্যুায়ী, পণ্য পরিবহনে মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের তামাবিলে এসে সিলেট হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ, এরপর রাজনগর, সেখান থেকে মৌলভীবাজার অথবা ব্রাহ্মণবাজার থেকে শমশেরনগর হয়ে চাতলাপুর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশর যাবে ট্যাংকারগুলো।
পেট্রোলিয়াম অথবা এলপিজি ট্যাংকারগুলো যথাক্রমে ডাউকি থেকে তামাবিল এবং চাতলাপুর থেকে কৈলাশর দিয়ে সিল করা অবস্থায় প্রবেশ করবে এবং প্রস্থান করবে। ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে।