শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিরও নাকি এমন দশা । ওয়ার্ড জুড়ে অন্ধকার, ভবনটাই প্রায় ফাঁকা;। চিকিৎসাধীন যে কয়জন রোগী আছেন তারাও রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেক চিকিৎসকও হাসপাতালে আসতে পারছেন না জ্বালানি সঙ্কটের কারণে। শ্রীলঙ্কার চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন ভয়াবহ চিত্রই উঠে এসেছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে।

অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে রাজধানী কলম্বোর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন থেরেসা মেরি নামের এক রোগী। তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, পায়েও তার তীব্র ব্যথা। তাকে মাত্র চারদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, পায়ে ব্যথার নির্মূলের জন্য তার দরকার বেদনানাশক ওষুধ কিন্তু হাসপাতালের কাছে তা নেই।

৭০ বছর বয়সী মেরি বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাকে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বলেছেন কিন্তু আমার তো টাকা নেই। আমার হাঁটু এখনও ফুলে আছে, কলম্বোতে আমার থাকার মতো অবস্থাও নেই। জানি না, আমি কতো দূর হেঁটে যেতে পারব।’

শ্রীলঙ্কার জাতীয় হাসপাতালে সাধারণ মানুষদের বিশেষ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে সেই হাসপাতালটিও এখন প্রায় শূন্য। জনবল কমানো হয়েছে, ফাঁকা পড়ে আছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বেড।

অনেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও নেই। সেই সাথে জ্বালানি সঙ্কটের কারণে অনেক রোগী ও চিকিৎসক হাসপাতালেও যেতে পারছেন না।

ড. ভাসান রত্নাসিংহাম বলেন, ‘অনেক চিকিৎসাকর্মী দুই শিফটে ডিউটি করছেন, কারণ বাকিরা আসতে পারছেন না। তাদের গাড়ি আছে কিন্তু জ্বালানি নেই।’

শ্রীলঙ্কার ৮৫ শতাংশ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আসে বাইরে থেকে। দেউলিয়া হওয়ার কারণে বিদেশ থেকে বর্তমানে সেসব আমদানি করতে পারছে না লঙ্কা সরকার। অন্যান্য ওষুধের দামও গত তিন মাসে চার গুণের বেশি বেড়েছে।’

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype