শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন  

 চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে অনকোলজি এবং হেমাকোলজি ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৭ জুলাই ।  এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৫ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডাক্তার এম এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শেফতুজ্জাহান ও হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সামিরা তৌফিক রেশমা। ‌। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর নওফেল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিষয় উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না আর চট্টগ্রামের বাইরে মা ও শিশু হাসপাতলে নির্মিত হচ্ছে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট সেন্টার। পুরো ইনস্টিটিউট চালানো এবং তত্ত্বাবধানে জন্য এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।

ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার বিনির্মাণে ইতিমধ্যে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদের ভূঁইষী প্রশংসা করেন।। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটটি ১শ শয্যা বিশিষ্ট এবং প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের । ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজারও অধিক ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। ২০২১ সালে মা ও শিশু হাসপাতালের অনকোলজি ও রেডিও থেরাপি বিভাগে মোট আউটডোর রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫৩৬ জন, ভর্তি রোগী ছিল ৫৪৬ জন এবং কেমোথেরাপি পেয়েছে মোট ১৪৮৬ জন। হেমাটোলজি বিভাগে মোট আউটডোর রোগী ছিল ২০৯৮ জন ভর্তি রোগী ছিল ২৫০ জন এবং ডে কেয়ার সার্ভিস পেয়েছে ১৩৪৫ জন। নতুন ইনস্টিটিউটে রেডিও থেরাপি কেমথেরাপি প্যালিয়েটিভ কেয়ার, পেডিয়াট্রিক, অনকোলজি, হেমাটোলজি এডাল্ট অনকোলজি সহ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইনভেস্টিগেশনের সেবা চালু করা হবে। ইতিমধ্যে দুটি রেডিওথেরাপি মেশিন বসানোর জন্য হাসপাতালে দুটি বাঙ্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। পুরো প্রজেক্টি ভ সম্পূর্ণ করতে আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রামবাসীর সহায়তা ও সহযোগিতা কামনা করার পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলেই আগামী বছর পহেলা জুলাই থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার নির্মাণের জন্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে জায়গা ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ কোটি টাকা অনুদানও প্রদান করেছেন। এছাড়া ক্যান্সার বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক সাবেক লায়ন গভর্নর রুপম কিশোর বড়ুয়া এবং ভিআইপি টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন যথাক্রমে ১ কোটি টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype