
বাটলার, ওয়ার্নার, লোকেশ রাহুলের মতো প্রতিষ্ঠিত তারকারা ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন আইপিএল-২০২২ এ। তবে ১১ জন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার নতুন মাত্রা পেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৫তম সংস্করণে।
১. চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৭ ম্যাচে ২৫২ রান সংগ্রহ করেন ডেভন কনওয়ে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৩টি। সন্দেহ নেই পরের মৌসুমে চেন্নাইয়ের প্রথম সারির তারকা হিসেবে বিবেচিত হবেন কিউই ওপেনার।
২. ডেভিড মিলার আইপিএলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছিলেন। তবে আইপিএল ২০২২ তাকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা দেয়। সেদিক থেকে মিলার হারানো সম্ভ্রম ফিরে পেলেন বলা যায়। গুজরাটের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৪৮১ রান সংগ্রহ করেন মিলার। টুর্নামেন্টের সেরা ফিনিশারের তকমা আদায় করে নেন তিনি।
৩. কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) বরাবর উপেক্ষিত ছিলেন রিঙ্কু সিং। তবে আইপিএল ২০২২-তে একবার মাঠে নামার সুযোগ পেতেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নাইট রাইডার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৭৪ রান করেন রিঙ্কু। পরের মৌসুমে রিঙ্কুকে গুরুত্ব না দিয়ে পারবে না নাইট রাইডার্স।
৪. উমেশ যাদবকে কার্যত বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন সবাই। অতি কম দামে কলকাতায় সুযোগ পেয়ে উমেশ ফের প্রমাণ করলেন নিজের সক্ষমতা। ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন এখনও ফুরিয়ে যাননি।
৫. ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পেসার হিসেবে আইপিএল ২০২২-এর মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরলেন মহসিন খান। নিশ্চিতভাবেই কৃপণ বোলিং ও ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট তার প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেল। স্পটলাইটে চলে এলেন মহসিন।
৬. আইপিএলে ভালো না খেললে যে কুলীনকুলে ঢোকা যায় না, সেটা বুঝে গেলেন টিম ডেভিড। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নজর কাড়ার পরই সিঙ্গাপুরের তারকাকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ায়। ডেভিডের ক্যারিয়ার আইপিএল থেকেই বাড়তি গতি পেল বলা যায়। ডেভিড ৮ ম্যাচে ১৮৬ রান করেছেন।
৭. সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন বলেই আইপিএলে মোটা অংকের দাম পেয়েছিলেন লিভিংস্টোন। তবে পাঞ্জাবের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৪৩৭ রান করে ব্রিটিশ তারকা ইঙ্গিত দিলেন, পরবর্তী সময়ে আইপিএল মাতাবেন তিনি। বিশেষ করে বড় শট নেওয়ার ক্ষমতার জন্যই তাকে নিয়ে বাড়তি মাতামাতি হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে।
৮. পরিবর্ত হিসেবে দলে ঢুকে আরসিবির রজত পতিদার প্লে-অফের মতো বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরেন। এলিমিনেটরের দুর্দান্ত শতরান তার ক্যারিয়ার বদলে দেবে নিশ্চিত।
৯. আইপিএল-২০২২ যার কাছে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়, তিনি হলেন উমরান মালিক। সানরাইজার্স হায়দারাবাদের তরুণ পেসার গতি দিয়ে মোহিত করেন সকলকে। ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ভারতের টি-২০ স্কোয়াডে ঢুকে পড়েন উমরান।
১০. ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৬ ম্যাচে ২৬টি উইকেট নিয়ে মহাতারকার মর্যাদা আদায় করে নিলেন। পরবর্তী সময়ে আইপিএলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেন ওয়ানিন্দু।
১১. দীনেশ কার্তিক ক্যারিয়ারের কার্যত শেষ প্রান্তে এসে ফের জাতীয় দলের আঙিনায় ফেরেন আইপিএল ২০২২-এর পারফর্ম্যান্সের সুবাদেই। ফিনিশার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে কার্তিক পুনরায় বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আরসিবির হয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৩০ রান করেন দীনেশ।