
ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে লেকের পানিতে আশ্রয় নিতে দেখা যায় সরকার দলীয় কয়েকজনকে। ইনসেটে সরকার দলের নেতাকর্মীদের জনতার ধাওয়া এবং জ্বলছে রাজাপাকসেদের পৈত্রিক বাড়ি।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে প্রাণ বাঁচাতে ত্রিঙ্কোমালির নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোররাতে ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে তার বাসভবন থেকে সরিয়ে নেয় সেনাবাহিনী। তবে বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে নতুন করে সহিংসতা না হলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আগামীকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গতকাল এমপিসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়। আহত হয়েছে প্রায় ২০০ জন। বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এছাড়া অর্ধশতাধিক রাজনীতিবিদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।
রাজাপাকসে সোমবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে বিক্ষোভকারীরা এতেও ক্ষান্ত হচ্ছে না। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছে। তবে তিনি পদত্যাগ না করার ব্যাপারে অটল রয়েছেন। দেশটি বর্তমানে ১৯৪৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করছে। গত মাস থেকেই তারা সরকারের পতন আন্দোলন করে আসছে।
বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসার বাসভবনে হামলা
মঙ্গলবার সকালে রাজপাকসের সরকারি বাসভবন ঘিরে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। তারা কলম্বোর টেম্পল ট্রিজ নামের বাসভবনের মূল দোতলা ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। রাজাপাকসে ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য রাজপাকসের বাসভবনে পৌঁছে সপরিবার তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভোরেই সপরিবার রাজাপাকসেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে খোলসা করেননি তিনি। যদিও সূত্রের খবর, ত্রিঙ্কোমালিতে নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন রাজাপাকসে।