
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঝড় শুরু হতে পারে। দেশের নয় জেলার নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ওই জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। আর সাতটি জেলার নদীবন্দরকে এক নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বিদ্যুৎ চমকানো, অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের নয়টি জেলার নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ওই জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। আর সাতটি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, শুক্রবার দেশের গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, রাতে দেশের ১৫-১৬টি জেলায় কালবৈশাখী হতে পারে। এরই মধ্যে আটটি জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে। শনিবার একই ধরনের ঝড়–বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, নঁওগা, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র মাত্রার কালবৈশাখী হতে পারে। এসব এলাকার নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও বরিশালে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। এ সময় বজ্রপাত ও বৃষ্টি হতে পারে।