শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার উপায়

এখন চারপাশে একটা শব্দ বেশ শোনা যায়। আর সেটি হলো ডিপ্রেশন। অবসাদ। উদ্বেগ। সামান্য দুঃখ কষ্টে ভেঙে পড়া, ছোট বিষয় নিয়ে হতাশা, আতঙ্কর মতো সমস্যাগুলি মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এগুলিই মানসিক স্বাস্থ্যে দারুণ ভাবে প্রভাব পড়ে। আজকাল ছোট থেকে বড় সকলেই স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছে। অফিস বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্ট্রেস, মানসিক বিপর্যয় বা যেকোনো ধরনের ট্রমাই হোক না কেন- মানসিক স্বাস্থ্য প্রায়ই অন্যান্য শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মতোই সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ওষুধ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু সেটাই লক্ষ্য বা চিকিত্সার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বিষন্নতা ও উদ্বেগের জন্য ওষুধের পথ ধরে সেগুলিতে ব্যয় করা ছাড়া আর কিছু হয় না। থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এর সমস্যার সমাধান হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এটি জন্য কোনও অতিরিক্ত খরচ হবে না। নিজেকে সময় দিয়ে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ অনুসরণ করুন।

সক্রিয় থাকুন-
একই জায়গায় অনলাইনে ক্লাস বা অফিসের কাজ করে যাওয়ার ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ঘাম ঝরানোর মত কনোও পরিশ্রম না করলেও প্রতিদিন হাঁটা, দৌড়ানোর সেশন, যোগব্যায়াম, জিমে খানিকটা সময় কাটানো এইভাবে নিজেকে সক্রিয় থাকার উপায় বের করুন। তাতে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা ও হতাশাজনক বা নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে অনেকটা দূরে থাকবেন।

ভাল কিছু করার চেষ্টা করুন-

কখনও কখনও আমাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা, হতাশাজনক চিন্তাভাবনা এড়াতে কৃতিত্বের অনুভূতি অর্জন করা প্রয়োজন। এর জন্য আপনি ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। সাফল্য আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাতে নতুন শেখার এবং অভিজ্ঞতার পথ খুলে যায়।

আপনি কী খাচ্ছেন তা লক্ষ্য করুন-

হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যায় জড়িতরা প্রায়শই স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যান। তাই চিনি ও ক্যাফিন বা অ্যালকোহলের মত পানী বা খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। খারাপ খাদ্যাভ্যাসের জন্য় বাড়তে পারে মানসিক চাপ। নিয়মিত সবজি খান। প্রতিদিন একটি করে মৌসুমি ফল খান। সঠিক খাদ্যগ্রহণ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। যতটা সম্ভব ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল, সবজি, বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ, বীজ, রুটি, শস্য এবং পানি অন্তর্ভুক্ত করুন।

মনকে শান্ত করার চেষ্টা করুন-

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি উপায় হল ধ্যান। মনকে শান্ত করতে শান্ত পরিবেশে বসার চেষ্টা করুন বা সবুজ পরিবেশে বের হয়ে পড়ুন। বাগান বা পার্ক যেখানে আপনি পাখির শব্দ শুনতে পারবে, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype