
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্মরণে গতকাল মানিকছড়িতে শোক সভা করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। শোক সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে যে ষড়যন্ত্র করে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাকে হত্যা করা হয়েছিল, আজও সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি- জামাত দোসরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আজকের ছাত্রলীগকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সজাগ থাকতে হবে। ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক চলাপ্রু মারমা নিলয় সঞ্চালিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আ.লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল, যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, শোক সভার আহবায়ক মো. মাকসুদ আলম মাসুদ, সদস্য সচিব মো. কামাল হোসেনসহ চার ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে পাকিস্তান সরকারের দোসররা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলার আকাশ থেকে আ.লীগের নাম- নিশানা মুচে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতির কান্ডারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে আজও তা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এ সময়েও পাকিস্তানি সরকারের দোসররা আজও আ.লীগ সরকার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাঁদের উত্তরসুরীকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই ছাত্রলীগের নতুন প্রজন্মদের শোকাবহ আগস্ট ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সজাগ থাকতে হবে। আগস্ট ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আ.লীগ নেত্রী আইভি রহমানকে জীবন দিতে হয়েছে। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পরে ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ সকলের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত শেষে সভার সমাপ্তি ঘটে