
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘‘দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন, সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে।
সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বৃক্ষাদি এবং বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য, বন অপরাধ দমনের জন্য স্মার্ট পেট্রোলিংসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’’, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ জুন (বুধবার) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘জীববৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩ ‘শ ৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১ ‘শ ৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩ ‘শ ৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী,
৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩ ‘শ ১৫ প্রজাতির পাখি, ২ ‘শ ১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১ ‘শ ৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১ ‘শ ১৪টি পাওয়া গেছে।
সুন্দরবনের কার্বন মজুতের পরিমাণ ২০০৯ সালের ১ ‘শ ৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১ ‘শ ৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।’’