হালদা পাড়ের জেলেরা আছেন ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায়। চলতি মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমার যে কোনও সময়ে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ প্রজাতির মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে মা মাছ সামান্য নমুনা ডিম ছাড়লেও তা সংগ্রহের মতো ছিল না বলে জানান ডিম আহরণকারীরা।
সর্বশেষ ২ মে (রবিবার) রাতে মেঘের গর্জনে বৃষ্টি হলে ৩ মে (সোমবার) সকালে ডিম ছাড়ার আশা করেছিলেন তারা।
হালদা বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি মাসের ১০ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে অমাবস্যার জো রয়েছে।
এছাড়া ভরা পূর্ণিমায় ২৪ থেকে ২৮ তারিখে আরেকটা জো রয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে মা মাছ যেকোন দিন ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বছরের একটা সময়ই মা মাছ ডিম ছাড়ে।
গত বছর ২২ মে ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। সেইবার ২‘শ ৪০ নৌকায় ৬‘শ ১৫ জন জেলে হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেছিলেন।
তবে দূষণ রোধ, মা মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও বালু উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় এ বছর জোয়ার-ভাটার মিঠা পানির এই প্রজনন কেন্দ্র অতীতের রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়রা।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ডিম সংগ্রহের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
এখন শুধু অপেক্ষা মা মাছ ডিম ছাড়ার। সবকিছু আমাদের অনুকূলে রয়েছে। আশা করি এ বছর একটা ভালো ফলাফল পাবো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন,
বাংলা বছরের চৈত্র-বৈশাখ মাসে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে এবং ঢলের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। হালদায় ডিম ছাড়ার এখন ভরা মৌসুম।
তিনি বলেন, চলতি মাসের অমাবস্যার ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত একটা জো রয়েছে। এছাড়া ভরা পূর্ণিমায় ২৪ থেকে ২৮ তারিখ আরেকটা জো রয়েছে। এ তারিখগুলোর মধ্যে মা মাছ যেকোন দিন ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.