পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ইংলিশ কাউন্টিতে আগুন ঝরানো বোলিংয়ে আলোচনায়। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে মিডলসেক্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।
১৭ বলের ব্যবধানে আব্বাসের শিকার ৫ উইকেট। ১১ ওভারের স্পেলে ৬ মেডেনসহ দিয়েছেন ১১ রান। দারুণ এই হ্যাটট্রিকে ওয়াকার ইউনুস, সাকলাইন মুশতাকদের পাশে নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস।
একটা সময় ইংল্যান্ডের বাইরের ক্রিকেটারদের কাছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল পরম আরাধ্য জায়গা। আর্থিক লাভের পাশাপাশি নিজেকে সমৃদ্ধ করা, ক্রিকেট স্কিল ও শৃঙ্খলার শিক্ষা, পেশাদারিত্ব, সবকিছুর শেখার আদর্শ ক্ষেত্র মনে করা হয় কাউন্টি ক্রিকেটকে।
২০০৮ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট শুরুর পর ক্রিকেটারদের ভাবনায় বদল আসে। কাউন্টিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স সবসময়ই উজ্জ্বল।
ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাকলাইন মুশতাকরা লম্বা সময় দাপট দেখিয়েছেন ইংলিশ ঘরোয়া ক্রিকেটে।
২০০৮ সাল থেকে দুইজনের জায়গায় একজন বিদেশি ক্রিকেটার নেয়ার নিয়ম করা হয়। আসায় কমে আসে পাকিস্তানিদের সুযোগও।
কাউন্টিতে লম্বা সময় পর দারুণ এক হ্যাটট্রিকে আলোচনায় মোহাম্মদ আব্বাস। একাদশ পাকিস্তানি হিসেবে কাউন্টিতে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।
২০০৯ সালে শেষবার পাকিস্তানি হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন দানেশ কানেরিয়া। সাকলাইন মুশতাক ও ওয়াকার ইউনুসদের রয়েছে জোড়া হ্যাটট্রিক।
ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামের রয়েছে একটি করে হ্যাটট্রিক। মাজিদ খান, ইন্তিখাব আলম ও আসিফ মাহমুদ একবার করে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে হ্যাম্পাশায়ার অলআউট হয়েছে ৩১৯ রান করে। আব্বাসের সঙ্গে দলের বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মিডলসেক্সের প্রথম ইনিংস থেমেছে মাত্র ৭৯ রানে। ফলোঅনে পড়ে তারা আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.