

বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৬-২৭ মার্চ । এ সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।
এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় পরে হরতালও পালন করে হেফাজত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালেও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন মোদি। কিন্তু সেসময় এ ধরনের বিক্ষোভ হয়নি।
মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ বিক্ষোভ করেছে হেফাজত। আর এতে মদদ দিয়েছে বিদেশি শক্তি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
আর এতে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছে ভারত। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের মতে, মোদি ও বিজেপি ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই ইসলামবিরোধী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেজন্যই তাদের এ বিক্ষোভ। যদিও এ কারণটি মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা সত্যি হলে ২০১৫ সালে মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়ও বিক্ষোভ হতো।
বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ও অযৌক্তিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বিদেশি শক্তি। হেফাজতের বিক্ষোভেও মদত দিচ্ছে এই বিদেশি শক্তি। বাংলাদেশের একাধিক সংসদ সদস্য এ বিক্ষোভে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তান ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাকে দোষারোপ করেছেন।
ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট আল নাহিয়ান খান জয়ও বলেছেন, ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন মোদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে হেফাজতকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে।