সোমবার-১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

উপহার নিয়ে এগিয়ে এলেন সমাজ সেবক উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া

উৎফল বড়ুয়া , সিলেট প্রতিনিধি

বাবা দিবসে চট্রগ্রাম থেকে সিলেটে মানবতার উপহার নিয়ে এগিয়ে এলেন সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম কর্তৃক সমাজ সেবায় “একুশে স্মারক সম্মাননা- ২০২০ প্রাপ্ত, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব’র সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, ধূমারপাড়া আনন্দ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, অগ্রসার মেমোরিয়াল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র, নির্বাহী সদস্য, অগ্রসার বৌদ্ধ অনাথালয় উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা- আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন- চট্রগ্রাম উত্তর জেলার সহ-সভাপতি উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া।
আজ ২১ জুন বাবা দিবস উপলক্ষে সিলেটে ১৬ জন বাবাকে মানবতার উপহার বিতরণ করেন দাতার ছোট ভাই, যিনি কোভিট-১৯ শুরু থেকে সিলেটে মানবিক কাজে অনবদ্য ছুটে চলা একজন তরুণ,সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ইস্পাহানি সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা, মানবতার ফেরীওয়ালা উৎফল বড়ুয়া।
বিশ্ব বাবা দিবস আজ একটা শক্ত হাতের আঙুল ধরে হাঁটতে শিখেছি আমরা। তার বিশাল কাঁধে মাথা রেখে ছোট্টবেলায় পরম মমতায় ঘুমিয়েছি। আধো আধো বুলি ফুটতে বাবা বাবা বলে ডাকতে শিখে গেছি। হ্যাঁ, মানুষটি আমাদের বাবা। আমাদের ভরসা ও ছায়ার নাম বাবা। পরম নির্ভরতার প্রতীক। আজ সেই বাবাকে নিয়ে দিন। আজ বাবা দিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার এই দিবসটি পালন করা হয়। সেই হিসেবে আজ সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস। সারাবিশ্বের সন্তানেরা পালন করবেন এই দিবসটি। পিতার প্রতি সন্তানের সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। সন্তানরা তাদের প্রিয় জন্মদাতার জন্য নানা উপহার কিনবে, উপহার দেবে। যারা বাবাকে হারিয়েছেন, তারা স্মৃতি খুঁজে ফিরবে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিক থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়। শুরুর দিকে বাবা দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো। মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। জন্মের পর বা বড় হয়ে ওঠার আগে বাবা মায়ের মতোই আপন থাকে। কিন্তু বড় হতে হতে বাবা যেন কেমন একটু দূরের হয়ে যায়। শাসন বারণের বেড়াজালে পড়ে বাবাকে ভয় পেতে শুরু করি। তাই মনের কথা ভাগাভাগি করাও কমতে থাকে। কিন্তু চলার পথে আপনার একমাত্র রিয়েল হিরো কিন্তু আপনার বাবাই। আপনার মাথায় এই মানুষটির হাত সর্বদাই থাকবে। দায়িত্ব আর ভালোবাসা পালনে এই মানুষটি কখনো পিছপা হবে না। আপনাকে সুসন্তান হিসেবে গড়তে মায়ের সঙ্গে বাবাই থেকেছে আপনার পাশে। আপনিও সন্তান, আপনার দায়িত্বগুলোও পালন করতে শিখুন। তার কাঁধ থেকে দায়িত্ববোধের বোঝা নিজের কাধে নিতে শিখুন। বাবার সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে উঠুন। যেকোনো সমস্যা বা দুর্যোগে বাবার পাশে থাকুন। তাকে আশ্বস্ত করুন যে তিনি একা নন, আপনিই তার ছায়া। বাবাকে ভালোবাসেন, সেটার জন্য দিবসের অপেক্ষা না করে বাবাকে প্রতিদিন আরও বেশি করে ভালোবাসুন। যার চোখ দিয়ে নিজের স্বপ্ন বুনতে শিখেছেন, তার চোখের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে শিখুন। পৃথিবীর সব বাবার আদর্শে আরও সৃধন্দর হোক পৃথিবী।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype