
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যায় জড়িতদের
সহায়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু, ঘাতক-দালাল চক্র ও প্রেতাত্মারা নানা হুঙ্কার ছাড়ে। তারা এখনও স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে। স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এটি একটি বড় দুর্ভাগ্য ও লজ্জাজনক। স্বাধীন দেশে বাস করেও তারা কিভাবে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে দেশ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলে এটি বোধগম্য নয়। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে আজ স্বাধীনতাকামী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোটি কোটি মানুষের প্রাণের দাবি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে গণহত্যায় জড়িতদের সকল সহায়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে ২৫ মার্চ কালো রাত্রি-গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন ও ২৫ মার্চ কালো রাত্রি-গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ ২৪ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর মৌসুমি আবাসিক এলাকাস্থ চৈতালী ভবনের সংগঠনের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের জেলার সভাপতি অধ্যাপক এডভোকেট কামরুন নাহার বেগম এর সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র স ম জিয়াউর রহমান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, সহ-সভাপতি সৈয়দা সাহেদা সুলতানা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. হাসান মুরাদ, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. গোলাম রহমান, সহ অর্থ সম্পাদক মাসুমা কামাল আঁখি, প্রচার সম্পাদক সাজেদা বেগম সাজু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া জয়িতা, নৃত্য বিষয়ক সম্পাদক মো: হোসেন মধু, সাংবাদিক রতন বড়ুয়া সদস্য জয়া চৌধুরী, কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, রহিম পারভেজ, লাকী আক্তার, সাথী কামাল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ডা. আবুল ফজল, মো. কামাল হোসেন, সোমা বড়ুয়া, মৃত্তিকা বড়ুয়া, মো: আবদুর রউফ, ত্রিদিপ কুমার দে, মো: কেফায়েত উল্লাহ আরকান, মো: জাহাঙ্গীর, চিনু রুদ্র প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এডভোকেট কামরুন নাহার বেগম বলেন, স্বাধীনতা যারা চাইনি তারাও আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হলেও স্বাধীনতাকে স্বীকার করছে। কিন্তু তারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেনা। এসব সুবিধাভোগী স্বাধীনতার দোসর, ইতিহাস বিকৃতিকারী, প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে আজ প্রাণের দাবি চিহ্নিত বাকীসহ যুদ্ধাপরাধী এবং গণহত্যায় জড়িতদের বিচার সম্পন্ন করার অনতিবিলম্বে বাকীসব যুদ্ধাপরাধীসহ গণহত্যায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করাসহ দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আলোচনা সভার শুরুতে ২৫শে মার্চ কালোরাত্রিতে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।