বৃহস্পতিবার-১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কলকাতার ‘ব্রিগেড গ্রাউন্ড’ যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ইতিহাস ৭১ ডেস্ক : কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কলকাতা যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখার যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলাম, উপসচিব সাইফুল ইসলামসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা তথ্যমন্ত্রীর সাথে রয়েছেন।

৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে ছিলো স্বাধীনতার আনন্দ, স্বজন হারানোর বেদনা, ভারতের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ও চিরঞ্জীব সম্প্রীতি আর স্বাধীনতাবিরোধীদের সমালোচনা।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনকে সাথে নিয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ৬ ফেব্রুয়ারি স্মরণে যে সভা আয়োজন করেছে, সেখানে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রীর সাথে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ভারতীয় গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টসে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‌‌ব‌ঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে আয়োজিত দু’দেশের ২৬ জন চিত্রশিল্পীর ৬০টি চিত্রকর্মের প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস ও জাকির হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাৎসরিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে কলকাতার রবীন্দ্রসদনের নন্দন-১ হলে ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব দুই বাংলার নৈকট্য গভীর করতে আরো অবদান রাখবে। মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের গভীর অনুভবকে স্পর্শ করে এবং মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। সেকারণে এটি মানুষে-মানুষে যোগাযোগ গড়ে তুলেতে অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু ও ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সম্মানীয় অতিথি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তা হিসেবে প্রথম সচিব প্রেস ডঃ মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তৈরির কাজ হচ্ছে, যা আগে ছিল না। আমাদের আসল পরিচয় আমারা বাঙালি, তাই সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়াতে হবে। এর ফলে দুই বাংলার নৈকট্য স্থাপন হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সমাজে উন্নয়নের জন্য শিল্প ও সাহিত্যের সাথে রাজনীতি আনা ঠিক নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা বিশ্বে এক অনন্য সম্পদ বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

এবছরকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং ভারত বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও পঞ্চাশ বছর হিসেবে বর্ণনা করে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা একসাথে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে গড়া । তাই এই সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয়।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইমুম সারোয়ার কমল, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চিত্রতারকা জয়া আহসান, সৃজিত প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উৎসবের ৩২ টি চলচ্চিত্রের মধ্যে উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype