তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মানিকগঞ্জের ঘিওর । সকাল থেকেই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। নেই কোনো বাতাস। গরমের তীব্রতায় মানুষসহ পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। সবখানেই শুধু গরম আর গরম। একটু শীতল ছোয়া পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় ঘিওরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। ঘিওর অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না। আগামী কয়েক দিন এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য। চরবাইলজুরী পঞ্চরাস্তা মোড়ের এক পথচারী মোঃ আবুল হোসেন বলেন,গাছের পাতাগুলো যেন একচুলও নড়ে না। তীব্র তাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে বায়ুমণ্ডল। প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি নেই। মনির হোসেন বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাছাড়া সাধারণ পথের যাত্রী ও মানুষদেরও নাভিশ্বাস উঠছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর ভিড়। বিশেষ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঘিওরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে গরম বাড়তে থাকে। সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। তপ্ত রোদে খাঁ -খাঁ করছে সড়ক জনপদ। গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম থেকে একটু রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে পানির সঙ্গে দুরন্তপনায়। আর প্রচণ্ড তাপে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে আর কাজ করার মত শক্তি পাচ্ছে না বেশিরভাগ দিনমজুর। রিক্সা চালক আমির হোসেন বলেন, জীবনের তাগিদেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হই, চারেদিকে প্রচন্ড গরম। নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে গরম থাকলেও শরীর থেকে এক ফুটাও ঘাঁম বের হচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদরা বলেন দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে দিনের তাপমাত্রা কম-বেশি হলেও ঘিওর অঞ্চলে এখনো দেখা নেই বৃষ্টির। গরমের তেজ তীব্র থাকবে আরও কিছুদিন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: itihass71@gmail.com, মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.