অনলাইন ডেস্ক : এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল সিলেটের। তবে শেষদিকে এসে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল শীর্ষস্থান ধরে রাখা নিয়ে। কিন্তু সেসব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে উড়িয়ে শীর্ষস্থানে থেকেই প্লে-অফে গেল সিলেটের দলটি। এদিন মাশরাফির ফেরার ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৬ উইকেটে। এই জয়ে সিলেটের শীর্ষস্থান আরো পোক্ত হলো।
রান তাড়ায় নেমে সিলেটের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ৬ রানে ইনফর্ম ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়কে (৫) ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অপর ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও ৩ রানে নাহিদুলের শিকার হন। ১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৯০ রানের দারুণ জুটি গড়েন জাকির হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। ৪৪ বলে ফিফটি পূরণ করে থামেন জাকির। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। দলের ঠিক এক শ রানেই অদ্ভুতভাবে রান-আউট হন মুশফিক। মুহূর্তের জন্য মনোযোগ হারিয়ে তার ইনিংস থামে ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ রানে। তবে রায়ান বার্ল (১২*) আর গুলবাদিন নাইবের (২*) সৌজন্যে ১৫ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এর আগে আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। দলীয় ৮ রানে তাদের উইকেট পতনের শুরু। ইমাদ ওয়াসিমের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান মুনিম শাহরিয়ার (৩)। সেই থেকে শুরু, টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে খুলনার। অ্যান্ডি বালবার্নিকে (৭) ফেরান রুবেল হোসেন। তানজিম সাকিবের বলে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে খুলনা অধিনায়ক শাই হোপের সংগ্রহ ৯। ইয়াসির আলীর সংগ্রহ ১৫ বলে ১২ রান। প্রথম তিন ম্যাচের পর আর খুলনার একাদশে সুযোগ পাননি সাব্বির রহমান।
আজ ৭ ম্যাচ পর সুযোগ পেয়ে তিনি করেন ৯ বলে ৬ রান রুবেলের হোসেনের বলে আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটু শটে। ৫১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মাহমুদুল হাসান জয় একটু লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। অন্য প্রান্তে ৬ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন। খুলনা যখন এক শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শংকায়, তখন মাহমুদুলের ৪১ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪১ আর নাহিদুলের ১৭ বলে ২২ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ১১৩ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ২টি করে নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম আর রুবেল হোসেন।