অনলাইন ডেস্ক : সার্বিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে নান্দনিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। ২-০ ব্যবধানে জয়ের এই ম্যাচে দুটি গোলই করেছেন রিচার্লিসন। এর মধ্যে একটি গোল ছিল বাইসাইকেল শট থেকে। এই গোলের পর ফুটবল বিশ্বে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। তাকে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে ব্রাজিলের ‘বিস্ময়’ গোলদাতা হিসেবে।
কিন্তু জানেন কি ব্রাজিলের এই ‘বিস্ময় গোলদাতা’ একবার বন্দুকের মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন? হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছিল তার সঙ্গে, যখন তার বয়স মাত্র ১৪ বছর!
জানা গেছে, সেই সময় মাদক ব্যবসায়ীদের চক্করে প্রাণ সংশয় হয়ে গিয়েছিল রিচার্লিসনের। এক মাদক ব্যবসায়ী নিজের দলের এক ছেলের সঙ্গে রিচার্লিসনকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, রিচার্লিসন হয়তো তার দল ছেড়ে পালিয়েছেন।
পুরনো এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের এই তারকা জানিয়েছিলেন, “একদিন রাস্তায় খেলছিলাম। হঠাৎ এক মাদক ব্যবসায়ী খেলা থামিয়ে আমার মাথায় বন্দুক ধরে। তিনি ভেবেছিলেন, আমি হয়তো তার দলেরই ছেলে। আমি তখন পালাই। যদিও আমায় তিনি হুমকি দেন, আবার যদি তার মুখোমুখি হই, তাহলে বন্দুকের ট্রিগার টিপে দিতে সময় লাগবে না। কি জানি কি মনে করে সে সেদিন আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল।”
সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের এই ‘বিস্ময় গোলদাতা’ রিচার্লিসনের বাবা ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি দৈনিক মজুরির বিনিময়ে কাজ করতেন। মা ছিলেন ফেরিওয়ালা।রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করতেন আইসক্রিম। ব্রাজিলের এসপিরিটো সান্তো প্রদেশের নোভা ভেনিশিয়া শহরে। নোভা ভেনিশিয়া ব্রাজিলের অন্যতম বিপজ্জনক শহর।এই শহর মাদক ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবেই পরিচিত।শহরে চলে কালো অর্থের লেনদেন। শহরের শিশু থেকে কিশোর সকলেই এসবের সঙ্গে কম বেশি পরিচিত। রিচার্লিসন হচ্ছেন তার পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সকলের ছোট।
ছোটবেলায় সন্তানদের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দেওয়াই ছিল রিচালির্সনের পরিবারের কাছে কষ্টকর। রিচার্লিসন নিজেই জানিয়েছিলেন তার অনেক বন্ধু ব্রাজিলের রাস্তাতে মাদক বিক্রি করত। সহজে অর্থ আয়ের যা ছিল এক অন্যতম পথ। মাদকদ্রব্য ভালো করে বিক্রি করতে পারলে বেশ মোটা অর্থ পাওয়া যেত। তার মা–বাবা তাকে শিখিয়েছিলেন, এভাবে অর্থ আয় করা ঠিক নয়। জগতটি কার্যত অন্ধকার জগত। তাই রিচালির্সন তার মায়ের সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম বিক্রি করতেন। বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য করতেন গাড়ি ধোয়ার কাজ। এখন সেই রিচার্লিসনই ব্রাজিলের ‘বিস্ময়’ গোলদাতার খ্যাতি অর্জন করলেন। সূত্র: টেলিগ্রাফ, দ্য সান, ফোরফোরটু
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.