অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামে হেলথ এন্ড মেডিকেল এক্সপো’র উদ্বোধনীতে ভিসি ডা. ইসমাইল খান ‘হেলথ ফর অল নয়, অল ফর হেলথ’ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. ইসমাইল খান বলেছেন, মহামারী করোনা আমাদের নতুন করে শিখিয়েছে হেলথ ফর অল নয়, অল ফর হেলথ...। যেকোন দুর্যোগ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করলে সফল হওয়া যায়-এবং এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ই আমাদের শিখিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাও এই অসাধারণ থিউরি ফলো করছেন প্রতিনিয়ত। তিনি এক্সপো’র উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একই ছাঁদের নিচে সবকিছু যোগাড় করে দেওয়ার মধ্যে মানবিকতাও রয়েছে। এতে সময়য় এবং অর্থও সাশ্রয় হয় নানাভাবে। স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিনরাত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে ডা. ইসমাইল খান আরো বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যগত দিকগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কেননা স্বাস্থ্যগত দিকগুলো গুরুত্ব না দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়।
১০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপি হেলথ এন্ড মেডিকেল এক্সপো ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেডিক্যাল সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা ইতোমধ্যে দূর হয়েছে। বলা হয়ে থাকে যেখানে ডাক্তারদের সামর্থ্য শেষ সেখানেই বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ শুরু। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের উন্নয়ন সাধন ছাড়া কখনোই চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। হেলথ কেয়ার কিভাবে রিমোট এলাকায় পৌঁছানো যায়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী বিদেশে যায়। এই আয়োজন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান মাস্কস ম্যানেজমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম মো. জিল্লুর রহমানের সাবেক পলিটিক্যাল এপিএস এবং তাঁর সহধর্মিনী শহীদ আইভি রহমান প্রতিষ্ঠিত আমরা করবো জয়-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে ও সাদিয়া আফরিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব ও এক্সপো’র মিডিয়া অ্যাডভাইজার সাংবাদিক মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম ফিল্ড হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুকেশ কুমার দত্ত, দৃষ্টি-চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি মাসুদ বকুল, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান আবুল মনসুর।
মেলার দ্বিতীয় দিন ১১ নভেম্বর বিকেল ৩টায় বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি’র পরিচালনায় ‘পুষ্টি ও ওজন কমানো বিষয়ক সেমিনার’। বিকেল ৪টায় বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অধ্যাপিকা বাসনা মুহুরী’র পরিচালনায় ‘শিশুর বিকাশ ও প্রতিবন্ধির কারণ বিষয়ক সেমিনার’। এছাড়া, ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টায় সমাপনী দিনের আয়োজনে স্বাস্থ্য খাতে যাঁরা নানা সময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন-ভূমিকা রেখেছেন বিভিন্নভাবে তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে দেয়া হবে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান বিশেষ সম্মাননা’।
সম্মাননার জন্য মনোনীতরা হলেন-চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. রবিউল হোসেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ওয়ার্ডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান সুফী মো. মিজানুর রহমান এবং অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, ৫০ বছরের সফল প্রতিষ্ঠান সন্ধানী, নিজের বেতনের টাকায় গরীবের মাঝে ওষুধ সামগ্রী বিতরণকারী সরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ নেছার, সেবা ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা মানবিক পুলিশ শওকত হোসাইন, বেওয়ারিশ মানুষদের প্রতিনিয়ত সেবাদানকারী মঞ্জুর হোসেন, করোনাকালীন ও সর্বশেষ বিএম ডিপোতে অগ্নিকান্ডে হতাহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসা গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ এবং করোনাকালীন সময়ে সম্মুখসারির সংগঠন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।