ইতিহাস৭১ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে নেই। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে যে চার ক্রিকেটারকে রেখেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট, তাদের দুইজন সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম। সৌম্য স্পেশালিস্ট ওপেনার এবং শরিফুল বাঁ-হাতি পেসার। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন এই দুই ক্রিকেটার ছাড়াও অফ স্পিনার শেখ মাহাদি হাসান ও লেগ স্পিনার রিশাদ হাসান।

পরিবারের সঙ্গে দুই দিনের বিশ্রাম শেষে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় ক্রাইস্টচার্চের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রাইস্টচার্চে তিন জাতির টুর্নামেন্টে অংশ নেবে টাইগাররা। সেখানে তারা কমপক্ষে চারটি টি-২০ খেলে দল উড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া। যদি ফাইনালে উঠতে পারে তাহলে ম্যাচের সংখ্যা আরও একটি বাড়বে।
টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেবেন কি না নিশ্চিত নয়, তবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন জাতির টুর্নামেন্ট খেলতে দলের সঙ্গে গেছেন সৌম্য ও শরিফুল। ওপেনিং জুটির টানা ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বের হতেই অধিনায়ক সাকিবের আগ্রহে সৌম্য দলভুক্ত হয়েছেন। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দেবেন নিউজিল্যান্ডে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের সবুজ ঘাসের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে সহায়তা পেতে শরিফুলকে নেওয়া হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ রানের কষ্টার্জিত জয়ের ম্যাচে শরিফুল ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।

অক্টোবর-নভেম্বরে টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। ‘বি’ গ্রুপে সাকিব বাহিনীর প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং প্রথম পর্ব থেকে আসা দুটি দল। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে ছয়টি প্রস্তুতিমূলক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ব্রিসবেনের স্যার অ্যালান বোর্ডার মাঠে খেলবে ১৭ অক্টোবর আফগানিস্তান ও ১৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তার আগে ক্রাইস্টচার্চে চারটি ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।

৭ ও ১৩ অক্টোবর পাকিস্তান এবং ৯ ও ১২ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলবে। টাইগাররা গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেছিল। হেরেছিল সবগুলো। ম্যাচ তিনটি হয়েছিল হ্যামিল্টন, নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে। ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও এই প্রথম টি-২০ খেলছে।