বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)‘র কর্মচারীর বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রেজিস্ট্রার অফিসের অফিসার সেলে গ্রন্থাগার সহকারী গ্রেড-২ পদে কর্মরত আছেন।
গত বছরের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চবি প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী পদে মাকসুদুল সালেহীন ও অফিস পিয়ন পদে রাকিব ফরাজী ও সোহেল খানকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক চন্দ্র দাস। ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি তিন লাখ টাকা এখনো পাননি তারা। এমন অভিযোগ এ তিন চাকরি প্রার্থীর।
টাকা প্রদানের রশিদে দেখা যায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও রকেট ব্যবহার করে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে।
চাকরি প্রার্থী মাকসুদুল সালেহীন জানান, টাকা নেওয়ার সময় মানিক চন্দ্র দাস বলেছিলেন, তিন মাসের ভেতরে চাকরি হবে। পরে অনেকবার তিনি কথা পাল্টিয়েছেন। সর্বশেষ বলেন ডিসেম্বরে ভেতর না হলে টাকা ফেরত নিয়ে নিও। সে হিসাবে তিনি আমাদের তিনটা চেক দেন। একটা গত ২৮ ডিসেম্বর ও দুইটা গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখের চেক। কিন্তু ওই চেকে কোনো টাকা ছিলো না। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গত ২৬ জুলাই তাকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
মাকসুদুল সালেহীন জানান, ২০০০ সালের দিকে নিপা রাণী রায়কে পড়ানোর সুবাদে মানিকের পরিবারের সঙ্গে পরিচয়। গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আগেই মানিক আমাকে অফার দেন। আমার পরিচিত আরও কেউ থাকলে তাদেরও চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। অফিস পিয়ন পদে আবেদন করা ওই দুজনও আমার ছাত্র।
এ ব্যাপারে জানতে মানিক চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান জানান, আজই বিষয়টি অবগত হয়েছি। তার গর্হিত কাজের জন্য যেসমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি।
এম.জে.আর
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.