ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট ১২ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে বিরামহীনভাবে চেষ্টা করে গেলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির কাশেম জুট মিলস সংলগ্ন বিএম কন্টেনার ডিপোতে বিকট শব্দে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন মানুষ এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মিসহ আহত হয়েছেন আরো চার শতাধিক মানুষ। আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে, ভাটিয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকদের ফেলে দেয়া সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে এই কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত নয়টার দিকে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
স্মরণকালের এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম, ফেনী ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট ১২ ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং ডিপোতে সাড়ে চার হাজার কন্টেইনারের মধ্যে ১৬টি কন্টেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ওই রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে।
এতে আগুন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আগুনের তীব্রতায় কাছে ঘেঁষতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা। ১০০ গজ দূর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে চলেছেন তারা। তবে পানি স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠেছে এবং আশপাশের বাসা বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এক পুলিশ সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দলও কাজ করে যাচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ডিপোতে রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় বারবার বিস্ফোরিত হচ্ছে কন্টেইনার।
যে কারণে আগুনের কাছেও ঘেঁষতে পারছি না আমরা। প্রায় ১০০ গজ দূর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’ স্মরণকালের এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.