বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে রেকর্ড জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই সঙ্গে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে কুমিল্লা। পাশাপাশি তাদের প্লে-অফ খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে খুলনা। শেষ ম্যাচে তাদের সামনে জয়ের বিকল্প নেই।
শুক্রবার মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৮৮ রান করে কুমিল্লা। ১৮৯ রানের জবাবে ১২৩ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে মুশফিকুর রহিমের দল। কুমিল্লা পেয়েছে ৬৫ রানের রেকর্ডগড়া জয়।
বিপিএল ইতিহাসে এতোদিন কুমিল্লার সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটি ছিল ৬৩ রানের। চলতি মৌসুমেই ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল তারা। আজ সেটিকে ছাড়িয়ে ৬৫ রানে জিতল ইমরুল কায়েসের দল।
১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানেই ২ উইকেট হারায় খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজের আক্রমণে এসেই পর পর দুই বলে তুলে নেন খুলনার দুই ওপেনার রনি তালুকদার (০) ও আন্দ্রে ফ্লেচারের (১৬) উইকেট। এরপর চারে নামা ইয়াসির আলীকে (১৮) শিকার বানান মঈন। পরের ওভারে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কোনো রান করার আগেই আবু হায়দারের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া খুলনা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জিম্বাবুয়ের ব্যাটার সিকান্দার রাজা (৮) আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। ভরসা হয়ে থাকা সৌম্য সরকার আশা জাগিয়েও ২৫ বলে ২২ রান করে মঈনের বলে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর ১৪ বলে ১১ রান করে নাহিদুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন মেহেদী হাসান।
নিজের ওভারের শেষ বলে রুয়েল মিয়াকেও (০) ফেরান নাহিদুল। থিসারা পেরেরা যা একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আবু হায়দারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে এই লঙ্কান অলরাউন্ডার ২৩ বলে ২ ছক্কায় করতে পারেন ২৬ রান। অবশ্য এর আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। শেষ দুই ব্যাটার তাই হারের ব্যবধান কিছুটা কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া মুস্তাফিজ, নাহিদুল ইসলাম ও মইন আলির শিকার ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। তাকে সঙ্গে দিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে নাবিল সামাদের শিকার হয়ে ১১ রানে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে লিটনকে সঙ্গ দেন ফাফ ডু প্লেসি।
সপ্তম ওভারে ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা লিটন থিসারা পেরেরার বলে উইকেট হারান। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ১৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদের শিকার হন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৫ রানে তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মঈন আলী। অপরপ্রান্তে থাকা ডু প্লেসিকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইংলিশ এই ব্যাটার। ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে ডু প্লেসিকে আউট করে জুটি ভাঙেন সৌম্য। ৩৬ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ডু প্লেসির বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামা সুনীল নারাইন ডাক মেরে সাঝঘরে ফেরেন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগিয়ে যান মঈন আলী। শেষদিকে এসে পেরেরার শিকার হন তিনি। ৯ ছক্কা ও ১ চারে ৩৫ বলে ৭৫ রান নিয়ে সাঝঘরে ফেরেন ইংলিশ এই ব্যাটার। শেষদিকে এসে মাহিদুলের ক্যামিও ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৮ রানে।
খুলনার পক্ষে ২ উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা। এছাড়া নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদি হাসান, সৌম্য সরকার ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.