এক্সপেষান থেকে কয়েকবার বাতিল বলে ঘোষণা করে। তারপরও হার মানতে নারাজ, জেদকে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথ তৈরি করেছে। পশ্চিম বঙ্গে একটা সেতু বন্ধন তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ হয়েছে এই নৃত্য শিল্পী লাবণ্য ঘোষ। মায়ের স্বপ্নও পূরণ করে দিলো ছোট্ট লাবণ্য। তিন বছর বয়স থেকে মায়ের কাছ থেকে তালিম নিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে নৃত্য একাডেমিতে ভর্তি হয়ে বড় বড় ওস্তাদজী থেকে তালিম নিয়ে গড়ে তুলেছে লাবণ্য নিজেকে।
পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন বাংলা সেটেলাইট চ্যানেল পর্দায় দেখা গেলেও এবার দর্শকগন সরাসরি দেখতে পাবে বেশ কিছু পুঁজা মণ্ডপে। অক্টোবরের ১১ তারিখ থেকে শুরু হবে দূর্গা পুঁজা দর্শকেরা অধীর অপেক্ষায় আছে লাবণ্য ঘোষের নৃত্য উপভোগ করার জন্য। এক্সপেষান থেকে বাতিল হওয়া মেয়েটিকে আজ এক্সপেষান কুইন বলে ডাকে।
জানতে চাইবো লাবণ্য ঘোষ'র মুখ থেকে কিছু কথা - অনেকবার, অনেক রকম ভাবে কখনো উচ্চতা নিয়ে সমস্যা হয়েছে কখনো আমি একক ভাবে নৃত্য পরিবেশন করায় কথা শুনতে হয়েছে।
আমি জেনেছি, বুঝেছি খুব কম মানুষ তাঁর উলটো দিকের মানুষটির মন থেকে উন্নতি চান।এমনকি অনেক তথাকথিত কাছের মানুষদের কাছ থেকেও আমাকে নানান কটু কথা শুনতে হয়েছে ছোটবেলা থেকে। একসময় আমি সিদ্ধান্ত ও নিই যে আমি নাচ করব না। কিন্তু আমার বাবা মা পাশে ছিলেন বলেই আমি আবার নিজের মন কে নাচের প্রতি স্থির করতে পেরেছি।
পড়াশুনা এবং নাচ আমি একসাথে করি।যখন আমার পরীক্ষার আগের দিন নাচের অনুষ্ঠান থাকত আমি মেকাপ করতে করতে পড়েছি।
কোন কিছুকেই আমি অবজ্ঞা করিনি। কিন্তু নাচ আমার কাছে সব কিছু তাই নাচ কেই জীবনে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছি।
একসময় আমাকে বলা হয়েছিল আমি নাচটা ঠিক করে করলেও Expression ঠিক মত দিতে পারি না। তারপর জেদ নিয়ে আমি সেই বিষয়ে মনোযোগ দিই, এখন সবাই আমাকে Expression queen বলে ডাকেন। এটাই আমার প্রাপ্তি।
আমি জানি যত খারাপ কথা, অহেতুক নিন্দা ও হিংসা বিদ্বেষের জবাব একদিন আমি আমার কাজ দিয়েই দেবো।
আমার আনন্দের মুহূর্ত এটাই যে আমার কোরিওগ্রাফি মানুষ ভালোবেসে নিজে থেকে দেখে শিখে পরিবেশন করছে..ভারতবর্ষ ছাড়াও বাংলাদেশ এবং আরও অনেক দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।
এখন আমি নাচ শেখানো ও নৃত্য প্রদর্শনী শুরু করেছি। সকলেই সানন্দে অংশগ্রহন করছেন এটাই ভীষণ আনন্দের মন থেকে অনেক ধন্যবাদ জানাব সবার আগে। কিছুদিন আগেই আমার একটি নাচের ভিডিও 1Million ভিউ পেরিয়েছে। সকলের এই ভালোবাসার আমি যেন মান রাখতে পারি এটাই আমার প্রার্থনা। আর আমি জীবনে এমন কিছু করে যেতে চাই যাতে আমি না থাকলেও আমার কাজটা থেকে যায়। অনেকটা পথ চলা বাকি, আশাকরি সবার আশীর্বাদ পাবো।
ব্যুরো প্রধান, আমাদের নতুন সময়, চট্টগ্রাম
প্রকাশক ও সম্পাদক: প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া । সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯২ মোমিন রোড, শাহ্ আনিছ মসজিদ মার্কেট(৪র্থ তলা), জিপিও, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: ইমেল: [email protected], মোবাইলঃ ০১৮৫১০৭১১৭০
Copyright © 2025 ইতিহাস ৭১ টিভি. All rights reserved.